বরগুনার তালতলীতে বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসায় পড়-য়া ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য ধর্ষককে ১২ জুতাপেটা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার পর রবিবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক পলাতক রয়েছে। ধর্ষিতা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব কচুপাত্রা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণিতে পড়-য়া ছাত্রী কচুপাত্রা গ্রামের আবদুর রহমানের কন্যা (কারিমা আকতার-১৩) বৃহস্পতিবার বিকেলে মামা বাড়ী ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রাম থেকে আসার সময় চাকামইয়া ইউনিয়নের ছইলাবুনিয়া গ্রামের ছালাম আকনের পুত্র হুন্ডা চালক রুবেল (৩০) তার খালা বাড়ী চরকগাছিয়া গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে রুবেল ঐ ছাত্রীকে নিয়ে একটি খালী ঘরে রাত যাপন করে। আসপাশের লোকজন টের পেয়ে ওদেরকে হাতেনাতে ধরে স্থানীয় আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান একেএম নূরুল হক নূরু’র কাছে সোপর্দ করে। ঐ চেয়ারম্যান তার অফিসে বসে উভয় পক্ষের অভিভাবক ডেকে এনে কথা শুনে ছাত্রীকে ৬ ও রুবেলকে ১২ জুতাপেটা দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রী রবিবার রাতে তালতলী থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। পুলিশ সোমবার সকালে ছাত্রীর জবান বন্দির জন্য উপজেলা ম্যাজিট্রেট কোর্টে ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা সিভিল সার্জনের কাছে পাঠিয়েছে।