ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ১১নং আমতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক জমিদারি স্টাইলে চেয়ারে বসে সম্প্রতি বয়স্কদের ভাতার কার্ড প্রদান করেছেন ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সেখানকার এক ইউপি সদস্য খোকন দৃশ্যটি তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট দিলে শুরু হয় সেই চেয়ারম্যানের সমালোচনা । ছবিটি ইউপি চেয়ারম্যানের সন্মানের চেয়ে অপমানের পাল্লা ভারি করেছে ।
অনেকেই বলছেন, জনপ্রতিনিধি হলেই কী যা ইচ্ছে তাই করবেন ।এটি সত্য যে ফেসবুকের যুগ না হলে সমাজে সংঘটিত অনেক ইতরামি-ফাজলামিই অপ্রকাশিত থেকে যেত। কেউ কিছু জানতেও পারতো না, বলতেও পারতো না। অনেক অপকর্মই দ্রুত আড়ালে-আবডালে চলে যেতে।
ফেসবুকের কল্যাণেই শফিকুর রহমান শফিকের এহেন নিন্ম মানষিকতার পরিচয় দেখতে পেলেন মানুষ । ছবিটি প্রমাণ করছে , এই ইউপি চেয়ারম্যানের সমস্ত শিষ্টাচার ভঙ্গের দৃষ্টান্ত ।
ইউপি চেয়ারম্যান যে একটা দৃষ্টিকটু, রীতিনীতিহীন উদাহরণ তৈরি করেছেন এতে সন্দেহ নেই। জানাগেছে, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বিএনপি সমর্থক । বিএনপির প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ।
তার এই শিষ্টাচারহীনতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো বিষয় কী? তার এই ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে তার মননশীলতার র্যাংকিং এখন কতোটা নিচে। সমাজের অবহেলিত বয়স্কদের সাথে এই ইউপি চেয়ারম্যান যে আচরণ করেছেন, তা অবশ্যই নিপীড়ন। কোনো জনপ্রতিনিধিরই যা ইচ্ছে তাই করার সুযোগ নেই।