অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদ করায় নয় শিক্ষক চাকরিচ্যুতের শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বকশীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিচার ও চাকরি ফিরে পেতে বুধবার বিকালে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত শিক্ষিকা নাজনিন নাহার বলেন, চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম পকেট কমিটি দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে নানা অনিয়ম দুর্নীতি, সরকারি-বেসরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলের সরকারি অংশ কর্তন করে আসছিলেন।
তার অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে নয় শিক্ষককে অদক্ষ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বরখাস্ত করে। আমরা অনেকদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ওই স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ও মিথ্যা অভিযোগে বরখাস্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন- চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা শিরি জাহানারা, শামিমা আক্তার, মোর্শেদা বেগম, শিক্ষক আওরঙ্গজেব, রকনুজ্জামান, মোনায়েম, আবু সাঈদ, ফরহাদ হোসেন ও আব্দুস ছাত্তার।
এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন বহিষ্কৃত শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ বিষয়ে চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, বরখাস্তকৃত নয় শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ও পাঠদানে অদক্ষতার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন