জামালপুরের ইসলামপুর পাথর্শী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ ওয়াহেদ আলীর বাড়ি হতে মরহুম ওরলের বাড়ী পর্যন্ত বন্যা ক্ষতি গ্রস্ত একটি রাস্তায় মেরামত বিশেষ বরাদ্ধের কাবিখা প্রকল্পের কাজে শুরুতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে প্রকল্পটি’র রাস্তা পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, যেখানে ৩/৪লাখ হলেই বন্যা ক্ষতি গ্রস্ত রাস্তাটি সংস্কার করা সম্ভব্য; সেখানে সরকারের প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁিক দিয়ে একশটন চাল যার মূল্য ২৫লক্ষ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্ধ এনে সিংহভাগ টাকা হরিলুটের পায়তারা করছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবলু।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়,সরকারের গ্রামীন জনপদ উন্নয়ন উক্ত কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি খাবিখা প্রকল্পের প্রকল্পের জন্য একশত টন চাল বরাদ্ধ রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রতিটন ২৫ হাজার টাকা দরে ১০০ টনের মূল্য ২৫লক্ষ টাকা।
নিয়মানুযায়ী এ প্রকল্পে শ্রমিকরা কাজ করা থাকলেও ১জুন রবিবার কাজ শুরুর দিনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তার গর্তভরাট কাজ করছে যমুনা থেকে অবৈধ বালু তুলা ড্রেজার মেশিন।
এসময় স্থানীয়রা জানান,শ্রমিকের বদলে প্রকল্প সভাপতি সিংহ ভাগ প্রকল্পে টাকা হরিলুটের জন্য যমুনা থেকে অবৈধভাবে খনিজ সম্পদ বালু ড্রেজার মেশিনে উত্তোলন করে তা দিয়ে বালির বাধঁ দিয়ে রাস্তাটি’র নির্মাণ সংস্কার কাজ শুরু করেছে। যা আগত বন্যার পানির ঢলে আবার রাস্তাটি বিলিন হয়ে যাবে।
এব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান,খাবিখা প্রকল্পের কাজ শ্রমিক দিয়েই করা নিয়ম,ড্রেজার দিয়ে নয়। তবে এ প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে আপনারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে নিবেন।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান,শ্রমিক দিয়ে কাজ করলে অনেক সময় লাগবে,তাই ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে পরে শক্ত মাটি ফেলা হবে রাস্তায়। আর যমুনা থেকে অবৈধ বালু তুলে এনে প্রকল্পের কাজ কারার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড জানে।
এব্যাপারে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান,বিষয়টি স্থানীয় এমপি,ইউএনও ও চেয়ারম্যান ভালো জানেন কিভাবে কাজটি করা হচ্ছে। তবে যমুনা থেকে ড্রেজারে অবৈধ বালু তুলা ব্যাপারে তিনি জানান,এটা স্থানীয় প্রশাসনের দেখার কাজ। তবে বালু দিয়ে রাস্তার গর্তভরাট কাজ করলে রাস্তাটি টিকানোর জন্য পরে জিওব্যাগ ফেলা হবেও বলে তিনি জানান।