বিয়ে ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই অতি প্রয়োজন। আর বিয়ে সবার জন্যই
গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিয়ে নিয়ে অনেকের অনেক মত থাকে। কেউ বিয়ে করতে আগ্রহী
আর কেউ বা বিয়ে করতেও চায় না। অনেকে মনে করে বিয়ে জীবনকে সুন্দর করে
গুছিয়ে দিবে আবার কেউ মনে করে বিয়ে মানে অনেক ঝামেলা তাই বিয়ে করতে চায় না।
তবে বিয়ে করার ফলে এমন কিছু উপকার পাবেন যার কারণে আপনি বিয়ে করতে নিজেই
আগ্রহী হবেন। আর অবশ্যই এই সকল কারণে বিয়ে করাটা জীবনে বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানঅবিবাহিতদের থেকে বিবাহিত নারী-পুরুষরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশি ভালো
থাকেন। বিশেষ করে বিবাহিত পুরুষরা বেশি মাত্রায় ভালোবাসার প্রতি যত্নশীল
হন। তাদের আবেগ অবিবাহিতদের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। এটা পুরুষদের
কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য ভালো। এ ছাড়া স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও
অন্যান্য রোগ প্রবণতা বিবাহিতদের মধ্যে কম দেখা যায়।
একাকিত্ব দূর করেযখন পুরুষ ও নারী একে অপরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তখন তারা যেন একটি
সত্ত্বায় পরিণত হন। বিয়ে এমন একটি বন্ধন যার সঙ্গে অন্য কোনো কিছুর তুলনা
হয় না। বিয়ে আমাদের শুধু একজন জীবনসঙ্গী উপহার দেয় না, একই সঙ্গে জীবনের
বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। এতে কোনো ব্যক্তি
শুধু তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেই পৌঁছতেই সক্ষম হন না, একই সঙ্গে তার
একাকিত্বও দূর হয়।
মানসিক উন্নতি ঘটায়বিয়ে করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। এটি একটি মহান ইবাদতও বটে। বিয়ে হলো
একটি পরিবারের সূচনা এবং জীবনের একটি দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি। পরিবারের সবার
সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার একটি মোক্ষম সুযোগও বটে। শুধু শারীরিক প্রয়োজনে
নয়, বরং মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতেও বিয়ে জরুরি।
পরিশীলিত জীবনকেবল বিয়ের মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিশীলিত, মার্জিত এবং পবিত্র হয়। এটি
আমাদের নানা প্রলোভন এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। বিয়ের বন্ধনটা হলো
পরিতৃপ্তিদায়ক এমন এক ভালোবাসা যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি ঘটে।
কারণ একটি ভালো যৌনজীবন জীবনে সুখ এবং সন্তুষ্টির মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণায় এমন প্রমাণই পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পারিবারিক বন্ধন মজবুতবিয়ের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান হলো মা-বাবার সবচেয়ে বড় আশির্বাদ। শতকরা ৪০
ভাগ শিশুই বাবাকে ছাড়াই পরিবারে বড় হয়ে ওঠেন। বাবারা কর্মব্যস্ত থাকায়
শিশুরা মায়ের সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটায়। যাহোক, বিবাহিত দম্পতিদের
সন্তানরা কেবল সত্যিকারের পারিবারিক বন্ধনটা বুঝতে শেখে। এর ফলে তারা অনেক
অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে। এটা তাদের ব্যক্তিত্বকে উন্নত
করে এবং ভবিষ্যতে পারিবারিক জীবনেও তারা সুখী হয়।
আরও পড়ুন